রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
এমএম ইলিয়াছ আলী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উপজেলার জামখলা হাওরের ৩১শ হেক্টর বোর ফসল পানির নীচে তলিয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে উপজেলার হাওরের জমিতে আবাদকৃত বোরো ফসল। নির্ধারিত সময়ে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না করায় পানি প্রবেশ করে এরই মধ্যে ৩১শ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে প্রায় প্রতি বছরই এ সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চারদিন ধরে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তের ওপারের পাহাড় থেকে নামছে পানির ঢল। সুনামগঞ্জের হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ২৮ ফেব্র“য়ারি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ বাঁধের নির্মাণকাজ পিআইসির মাধ্যমে শেষ হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ হয়নি। ফলে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরে পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে যেতে থাকে। এরই মধ্যে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা দেখার হাওর, জামখলা ও সাংহাইর হাওরের কিছু অংশের বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
রবিবার সরেজমিন গেলে স্থানীয় কৃষকরা জানান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জামখলা হাওরের দরগাপাশা ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত পূর্বের অংশের বাঁধ নির্মাণকালে বাঁশ, বস্তা থাকায় শক্ত ও মজবুত হওয়ায় ঐ অংশে কোন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু পূর্ববীরগাঁও অংশে বাঁধ নির্মাণকালীন সময়ে বাঁশ ও বস্তা ব্যবহার না করায় গত শনিবার দিবাগত রাতে বাঁধের কিছু অংশ ধ্বসে যায়। পরে ধীরে ধীরে বাঁধের প্রায় ২শত মিটার অংশ ভেঙ্গে যায়। এ সময় সিআইসি আছাদ মিয়া ও আব্দুল গফফারের বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষকরা জানান, পিআইসি আছাদ ও আব্দুল গফফারের অনিয়মের কারণে জামখলার হাওরের পশ্চিমের মংলার দাইড় অংশে বাঁধ ভেঙ্গে হাজারে কৃষকের স্বপ্নের ফসল চোখের সামনে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষক আরজ আলী বলেন, গত বছরও অকাল বন্যায় হাওরের ফসল তলিয়ে গিয়েছিল। ওই সময়ে ৪০ শতাংশ ফসল ঘরে তুলতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার আগে ভাগেই বন্যা দেখা দিয়েছে, এতে তলিয়ে গেছে কাঁচা ধান। ফলে এ বছর বোরো ফলন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আফসার উদ্দিনের মোবাইল ফোন ০১৭১১৩২৬৯১৪ নম্বরে রবিবার রাত ৮টা ৪৭ মিনিটে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন কেটে দেন।